The best Side of মাশরুম চাষ পদ্ধতি
The best Side of মাশরুম চাষ পদ্ধতি
Blog Article
এভাবে আসা যাক উৎপাদন সম্পর্কে সাধারণত ভালো মানের স্পূন থেকে গ্রীষ্মকালে প্রতি আড়াই মাসে ৯০ থেকে ১০০ গ্রাম মাশরুম পাওয়া সম্ভব। শীত ও বর্ষাকালে মাশরুম উৎপাদন অধিক পরিমাণে হয়ে থাকে এ সময় একটি ভালো মানের স্পূন থেকে মাশরুম চাষ পদ্ধতি প্রতি আড়াই মাসে ২০০-২৫০ গ্রাম মাশরুম উৎপাদন করা যায়। ১০-১২ টাকা মূল্যের এই স্পূনগুলো প্রতি আড়াই মাস পর পর পরিবর্তন করতে হয়। বাংলাদেশের অনেক এলাকায়ই বর্তমানে মাশরুম চাষ করা হয়। এগুলোর মধ্যে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহীসহ সারাদেশেই বর্তমানে মাশরুম চাষ করা হচ্ছে। ঢাকা শহরে বিভিন্ন এলাকায় যেমন গোড়ান, কোর্ট কাচারি এলাকা, রামপুরা, বনশ্রী, সাভার, টঙ্গীতে অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষ করছে।
পাস্তুরাইজেশন পদ্ধতিতে স্পন প্যাকেট উৎপাদন করলে মাইসেলিয়াম দ্বারা পরিপূর্ণ হতে ১০-১৫ দিন সময় লাগে। এ ছাড়া জাতভেদে স্পন প্যাকেট কর্তনের ৩-৭ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। ফলে বিনিয়োগকৃত অর্থ কম সময়ে তুলে আনা সম্ভব।
মাশরুমের মধ্যে অনেক পুষ্টি রয়েছে। কারণ, আমরা প্রতিদিন যে খাবারগুলো খেয়ে থাকি তার চেয়ে মাশরুমের পুষ্টিগুণ তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। এটি পুষ্টিসমৃদ্ধ একটি খাবার। এটি শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ সহ শরীরকে সুস্থ রাখতে খুবই সহায়ক। মাশরুমে ভরপুর প্রোটিন রয়েছে এবং এতে কোনো প্রকার ক্ষতিকর চর্বি নেয় যার ফলে এটি নিয়মিত খেলে শরীর ভালো থাকার পাশাপাশি জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়।
মাশরুমে মাছির প্রকোপ দেখা দিতে পারে। এজন্য ম্যালাথিয়ন (০.১%) স্প্রে করা যেতে পারে। এছাড়া ফর্মালিডিহাইডে (৪%) তুলা ভিজিয়ে সানস্ট্রেটে ঘসে দিলে সবুজ বাদামী বা নীল মোল্ড দূর হবে।
ধানের খড়, শিমুল তুলা, ছোলার বেসন ও চালের কুড়া ইত্যাদি উপকরণ ব্যবহার করে সাধারণত স্ট্র মাশরুম চাষ করা হয়ে থাকে। এ জাতের মাশরুম মূলত মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চাষ করা
জয়পুরহাটে পাটের দাম ভালো পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি
আপনার চাষ করা মাশরুম কোনো ভালো জায়গায় বিক্রি করার জন্য দুটি বিষয় মনে রাখতে হবে। একটি হলো মাশরুমের ভালো মান এবং অন্যটি হলো মাশরুমের উৎপাদনের পরিমাণ।আপনার চাষ করা মাশরুম এর যদি ভালো মানের হয় ভালো দাম পাবেন।
বীজের উপরে আবার খড় দিতে হবে আবার খড়ের উপর বীজ, কম করে সাত-আটটা স্তর একইরকম ভাবে তৈরি করে পলিব্যাগের মুখ কয়েকটা প্যাঁচ কষে বন্ধ করে দিতে হবে। প্রত্যেকবার খড় বিছানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে, যাতে কিছুতেই খড়ের ফাঁক দিয়ে হাওয়া না ঢোকে। তারই জন্য স্তর করার জন্য হাত দিয়ে চেপে চেপে খড় বিছাতে হবে।
মাশরুম উঠানোর পর গোড়া থেকে ১-২ সে.মি. মত কেটে বোঁটাসহ ছিদ্রযুক্ত পলিথিন ব্যাগে বাজারজাত করা ভাল। তবে বিশ্বাসযোগ্যতা ও দূষণমুক্ত রাখার জন্য পলিথিন প্যাকেটের মুখ বন্ধ করে বাজারজাত করা দরকার। সাধারণ তাপমাত্রায় মাশরুম ১২-১৫ ঘন্টা ভাল থাকে। ফ্রিজের সবজি রাখার স্থানে রাখলে ৩-৪ দিন পর্যন- ভাল থাকে। তবে এ মাশরুম রোদে শুকিয়ে অনেকদিন রাখা যায়। মাশরুম উঠানোর পর সুন্দর করে বোঁটা কেটে রোদে প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা করে ৩-৪ দিন শুকিয়ে সংরক্ষণ করলে ১ বছর পর্যন- শুকনো মাশরুম ভাল থাকে।
অত:পর ব্যাগের দুপাশে অধর্চন্দ্রাকৃত্রির করে কেটে কাটা অংশটির খানিকটা চেছে ফেলে দিতে হবে।
পোকামাকড় ও রোগবালাই দমনঃ অরগানিক বা জৈব উপায়ে মাশরুম চাষের ক্ষেত্রে মাশরুমে মাছির উপদ্রপ দেখা দিলে বিভিন্ন প্রকার লাইট ট্রাপ ব্যবহার করে তা দমন করা যেতে পারে। এছাড়া মাশরুমে সবুজ বাদামি বা নীল মোল্ড দেখা দিলে লবণ দ্বারা আক্রান্ত স্থান কাভার করে দিয়ে তা দূর করা যায়।
এরপর একইভাবে ৩য় স্তর তৈরি হলে বেডের উপরের সব অংশে তুলা ছড়িয়ে তার ওপর মাশরুম বীজ বুনে আবার হালকাভাবে সামান্য খড় ছিটানোর পর বাক্সটি ভরে গেলে সাবধানে তুলে নিন।
খেয়াল রাখতে হবে, জায়গাটি অন্ধকার হলেও সেখানে যাতে বাসাত চলাচল করতে পারে।
নিয়মিত মাশরুম থেকে শারিরীক ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধি হয়। রক্ত সঞ্চালণ বৃদ্ধি পায় এবং সর্দি, কাশি দূর হয়।
Report this page